পটুয়াখালীর গলাচিপায় অমাবস্যার প্রভাবে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম গলাচিপা নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে গত দুই দিন ধরে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে অসুস্থ রোগী, যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বন্যানিয়ন্ত্রণ বেরিবাঁধের বাইরের ও চরাঞ্চলের ২৫ থেকে ৩০টি গ্রাম ২/৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গলাচিপা উপজেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম গলাচিপা নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে অমাবস্যার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সকল প্রকারের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে করে নদীর দু’ পাড়ে ২৫/৩০টি পণ্যবাহী যানবাহন আটকে আছে।
যখন নদীতে ভাটা হয় তখন ১/২ ঘন্টা সময়ের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে বিভিন্ন যানবাহন ফেরি পারাপার হয়। এদিকে পৌর শহরের আড়তপট্টির বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ১৩০ ব্যারাক, ৪০ ব্যারাক, ১০০ ব্যারাক, পেয়ারা বাগান, কলাবাগান জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মো. ইসহাক গাজী বলেন,
গত দুই দিন ধরে গলাচিপা নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রোগীদেরকে নিয়ে পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় ভাটার জন্য। ভাটা আসলে তাড়াহুড়ো করে নদী পার হয়ে রোগী নিয়ে যেতে হয় গন্তব্যে। আবার ফিরে আসার পথে একই সমস্যায় পড়তে হয়। গলাচিপা পৌরসভার নতুন বাজারের ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া বলেন, ফেরি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সময়মত মালামাল দোকানে উঠাতে না পারায় ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে।